29) বিখ্যাত জাদুকর পি সি সরকার
বিখ্যাত জাদুকর পি সি সরকার একবার স্টিমারে করে যাচ্ছিলেন। স্টিমারের কিছু যাত্রী তাঁকে চিনে ফেলে একটা জাদু দেখানোর আবদার করল। পি সি সরকার প্রথমে রাজি হলেন না। পরে যাত্রীদের চাপাচাপিতে রাজি হয়ে বললেন, ঠিক আছে, আমি জাদু করে স্টিমারটা থামিয়ে দিচ্ছি। কিছুক্ষণ পর সত্যি সত্যি স্টিমার থেমে গেল। সবাই যখন তাঁর জাদু দেখে মোহিত, তখন এক যাত্রী এসে বলল, আরে আপনি এখানে, একটু আগে না আপনাকে সারেঙের সঙ্গে কথা বলতে দেখলাম!
30) আপনার পিতা নাকি দর্জি ছিলেন
এক ভোজসভায় একজন লর্ড, বিখ্যাত নাট্যকার বার্নার্ড শ’কে অপদস্থ করার জন্য বললেন, ‘আচ্ছা মি. শ, শুনেছি আপনার পিতা নাকি দর্জি ছিলেন!’
ঠিকই শুনেছেন।
তাহলে আপনিও কেন দর্জি হলেন না?
শ বললেন, আপনার পিতা একজন বিশিষ্ট ভদ্রলোক ছিলেন, তাই না?
নিশ্চয়ই।
তাহলে আপনি কেন আপনার বাবার মতো হলেন না?
31) মাকড়সাটা কাগজ পড়ছিল
মার্ক টোয়েন তখন মিসৌরির এক খবরের কাগজের সম্পাদক। একদিন এক পাঠক ফোন করে বলল, ‘আপনার কাগজে একটি মাকড়সা ছিল। এটা খারাপ লক্ষণ নাকি ভালো লক্ষণ, বলবেন?’
মার্ক টোয়েন উত্তর দিলেন, ‘কুসংস্কার ঝেড়ে ফেলুন। বাস্তব দৃষ্টিতে দেখলেই বুঝবেন, আসলে মাকড়সাটা কাগজ পড়ছিল। দেখছিল কোন কোন কোম্পানি এই কাগজে বিজ্ঞাপন দেয়নি, যাতে সে নিশ্চিন্ত মনে তাদের গুদামে এবং অফিসে গিয়ে পরিপাটি করে জাল বিছাতে পারে।’
32) কোন দৃশ্যটি বাদ দিয়েছেন বলবেন কি?
বিখ্যাত মার্কিন নাট্যকার ও’নীলকে পরিচালক রাসেল ক্রুসো তাঁর ওয়াইলডারনেস নাটকটি একটু ছোট করতে অনুরোধ করলেন। ও’নীল রাজি হলেন না। তবে পরদিন ফোনে জানালেন, তিনি নাটকটি পনের মিনিট কমিয়েছেন।
পরিচালক ক্রুসো খুশি হয়ে উঠে বললেন, ‘কোন দৃশ্যটি বাদ দিয়েছেন বলবেন কি?’
ও’নীল বললেন, ‘কোনো দৃশ্য বাদ দিইনি। আমি নাটকের বিরতির সময়টুকু বাদ দিয়েছি।’
33) শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের কাছে
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের কাছে যে-ই তদবিরের জন্য যেত, সে-ই সফল হতো। তিনি তদবিরওয়ালার সামনেই ফোনে বলে দিতেন। এ জন্য শেরে বাংলা খুব জনপ্রিয় ছিলেন। তো একদিন এ রকম সাত-আটজনকে তাঁর সামনেই বসিয়ে রেখে ফোনে বলে দিলেন। এর মধ্যে আরেকজন ঢুকল।
: তোমার কী সমস্যা বলো?
: স্যার, আমি টেলিফোনের লোক। আপনার লাইনটা গতকাল থেকে কাটা। ঠিক করতে এসেছি।
33) সাদা বেল্ট আর গ্লাভস
অ্যাডগার অ্যালান পো জীবনের কিছু সময় সামরিক বাহিনীতে ছিলেন। পরদিন পাবলিক প্যারেড। নির্দেশ এল—সাদা বেল্ট আর গ্লাভস পরে আসতে হবে। পো পরদিন আক্ষরিক অর্থেই দিগম্বর হয়ে পাবলিক প্যারেডে অংশগ্রহণের জন্য আসেন। গায়ে ছিল শুধু সাদা বেল্ট আর গ্লাভস।
34) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ
২০০৪ সালের নভেম্বরে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ কানাডা সফরে যান। ইরাক অভিযানের কারণে কানাডার সাধারণ মানুষ তাঁর ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ছিল। কাজেই তিনি অটোয়া পৌঁছানোর পর ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়েন। হাজার হাজার কানাডীয় রাস্তায় নেমে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। বুশ এতে একটুও ক্ষোভ প্রকাশ না করে বলেন, ‘কানাডীয়দের আতিথেয়তায় আমি মুগ্ধ। আমাকে হাত ছুড়ে বরণ করে নেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
35) নিজের গালে কালিমা লেপন উত্তম
বিখ্যাত কবি ও সমালোচক স্যামুয়েল জনসন খবর পেলেন তাঁর সময়ের একজন নামকরা রাজনৈতিক নারী কলামিস্ট লেখালেখিতে মনোযোগ কিছু কম দিয়ে ইদানীং রূপচর্চায় মেতেছেন। শুনে জনসন মন্তব্য করলেন,
‘অন্যের চরিত্রে কালিমা লেপনের চেয়ে নিজের গালে কালিমা লেপন উত্তম।’
36) সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক
২০০০ সালের মার্চে পপতারকা ম্যাডোনা ঘোষণা করেন, দ্বিতীয় সন্তানের মা হতে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর এ ঘোষণা শুনে মার্কিন অভিনেতা ও টিভি উপস্থাপক ক্রেগ কিলবোর্ন মন্তব্য করেন, ‘ম্যাডোনার সন্তানটি যদি ছেলে হয়, তাহলে কখনো কোনো পুরুষের সঙ্গে এটাই হবে তাঁর সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক।’
37) চলচ্চিত্র নির্মাতা আলফ্রেড হিচকক
খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা আলফ্রেড হিচকক একবার পরিচিত এক ব্যক্তির দাওয়াত পেয়ে রাতের ভোজে যোগ দিলেন। সেখানে অনেক খাবারই ছিল। কিন্তু যে খাবারটি হিচককের সবচেয়ে প্রিয়, তা পরিমাণে খুব কম ছিল। কাজেই মনের ভেতর অতৃপ্তি নিয়ে খাওয়া শেষ করেন তিনি। বিদায় নেওয়ার সময় আয়োজক তাঁকে সৌজন্য দেখিয়ে বলেন, ‘আশা করি, শিগগিরই আবার আপনি আমাদের সঙ্গে খাবেন।’ হিচকক রসিকতা করে ওই খাবারের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ওই খাবার থাকলে এখনই আবার খাওয়া শুরু করতে কোনো অসুবিধা নেই।’