21) ডাক্তার সাহেব, আমাকে বাঁচান!
রোগী: ডাক্তার সাহেব, আমাকে বাঁচান!
ডাক্তার: কী হয়েছে আপনার?
রোগী: আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি। রাতে খাটে ঘুমাতে গেলে মনে হয় খাটের নিচে কেউ বসে আছে। খাটের নিচে গেলে মনে হয় খাটের ওপর কেউ বসে আছে। এভাবে ওপর-নিচ করে করে আমার রাত পেরিয়ে যায়।
ডাক্তার: হু, বুঝতে পেরেছি। আপনি দুই মাস প্রতি সপ্তাহে তিনবার আমার চেম্বারে আসুন, আপনার রোগ ভালো হয়ে যাবে।
রোগী: ইয়ে মানে, আপনার ভিজিট যেন কত?
ডাক্তার: ২০০ টাকা।
দুই সপ্তাহ পর রোগীর সঙ্গে দেখা হলো ডাক্তারের।
ডাক্তার: কী হলো, আপনি যে আর এলেন না?
রোগী: ধুর মিয়া, একজন কাঠমিস্ত্রি ২০ টাকা দিয়ে আমার সমস্যা সমাধান করে দিয়েছে। আপনাকে অতবার ২০০ টাকা দিতে যাব কেন?
ডাক্তার: কীভাবে?
রোগী: আমার খাটের পায়াগুলো কেটে ফেলেছে!
22) দুটো প্রেসক্রিপশন দিলেন যে?
রোগী: কী হলো, ডাক্তার সাহেব, আপনি আমাকে দুটো প্রেসক্রিপশন দিলেন যে?
ডাক্তার: একটা প্রেসক্রিপশন দিয়েছি যাতে আপনি ভালো বোধ করেন।
রোগী: আর অন্যটা?
ডাক্তার: অন্যটা দিয়েছি যাতে ওষুধ কোম্পানিগুলো ভালো বোধ করে!
23) ঠান্ডা, জ্বর, মাথাব্যথা, পেটব্যথা, দাঁতে ব্যথা...
রোগী: ডাক্তার সাহেব, আমার দুই সপ্তাহ ধরে ঠান্ডা, জ্বর, মাথাব্যথা, পেটব্যথা, দাঁতে ব্যথা...।
ডাক্তার: কোনো সমস্যা নেই, ওষুধ লিখে দিচ্ছি, সময়মতো খেয়ে নেবেন।কিছুদিন পর আবার সেই রোগী ডাক্তারের চেম্বারে হাজির।
রোগী: ডাক্তার সাহেব, আমার অসুখ তো ভালো হলো না।
ডাক্তার: ঠিক আছে, আপনাকে কিছু পরীক্ষা করতে দিচ্ছি। পরীক্ষাগুলো করিয়ে নিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করুন।পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডাক্তার আবারও ওষুধ দিলেন, কিন্তু এবারও ফলাফল শূন্য!
রোগী: ডাক্তার সাহেব, এবারও তো কোনো উপায় হলো না! আমার রোগটাই তো ধরা যাচ্ছে না।
কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে ডাক্তার বললেন, ‘হু, আপনি এক কাজ করুন। পাক্কা এক ঘণ্টা ঠান্ডা পানিতে ডুব দিয়ে বসে থাকুন।’
রোগী: বলেন কী! তাহলে তো আমার নিউমোনিয়া বেঁধে যাবে!
ডাক্তার: আমি অন্তত নিউমোনিয়ার চিকিৎসাটা করতে পারব!
24) আপনার জন্য দুটো খবর আছে
ডাক্তার: আমি অত্যন্ত দুঃখিত। আপনার জন্য দুটো খবর আছে। একটা খারাপ খবর, আরেকটা খুবই খারাপ খবর!
রোগী: কী খবর, বলুন?
ডাক্তার: আপনার পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফল বলছে, আপনি মাত্র ২৪ ঘণ্টা বাঁচবেন।
রোগী: এর চেয়েও খারাপ খবর আর কী হতে পারে?
ডাক্তার: প্রথম খবরটা দেওয়ার জন্য আমি আপনাকে গতকাল থেকে খুঁজছি!
25) এক চিত্রনায়িকা গেছেন ডাক্তারের কাছে।
ডাক্তার: বাহ্! আপনার ওজন তো দেখছি আগের চেয়ে এক কেজি কমেছে!
চিত্রনায়িকা: হু, এমনটাই হওয়ার কথা।
ডাক্তার: কেন?
চিত্রনায়িকা: কারণ, আমি আজকে মেকআপ করিনি!
26) অপারেশানের সময় মালা লাগে নাকি…?
বল্টু নতুন এক হাসপাতালে ডাক্তার হিসেবে নিয়োজিত হলো। বল্টু একটা ফুলের মালা হাতে নিয়ে এক রোগীর অপারেশান করতে ঢুকছে।
মালা দেখে রোগীর প্রশ্ন : “অপারেশানের সময় মালা লাগে নাকি…? ফুলের মালা কিসের জন্য…???”
ডাক্তার বল্টু : এইটা আমার ডাক্তারী জীবনের প্রথম অপারেশন। যদি সাকসেস হয়,
তাহলে এই ফুলের মালা আমার জন্য, আর যদি না হয় তাহলে এই মালা তোমার জন্য।
27) হাঁ করে তাকিয়ে মেয়ে দেখে
বল্টু প্রতিদিন বিকেলে এসে ডাক্তারখানার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে আর হাঁ করে তাকিয়ে মেয়ে দেখে। বেশ কিছুদিন লক্ষ্য করার পর ডাক্তারবাবু একদিন এসে বল্টু’কে জিজ্ঞেস করলো…
ডাক্তারঃ কী ব্যাপার মশাই,
আপনি প্রতিদিন বিকেলে এসে আমার চেম্বারের সামনে দাঁড়িয়ে এভাবে মেয়ে দেখেন কেন? ব্যাপার কী?
বল্টুঃ আরে ডাক্তারবাবু, আপনিই তো লিখে রেখেছেন…
মহিলাদের দেখার সময়ঃ বিকাল ৪টা থেকে ৬টা……..