সনাতন ধর্মের সুনির্বাচিত বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কিছু শ্লোকঃ-

জ্ঞান-ই শক্তি ! নিজের ধর্ম সম্পর্কে আগে ভালোভাবে জানুন এবং অন্যকেও জানতে উৎসাহিত করুন।

আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করতে পারেন। মানসম্মত লেখা নামসহ সাইটে স্থায়ীভাবে পাবলিশ করা হয়।

:ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক :-

  • শ্লোক: 63

    তেষামেবানুকম্পার্থমহমজ্ঞানজং তমঃ ।
    নাশয়াম্যাত্মভাবস্থো জ্ঞানদীপেন ভাস্বতা ॥
    (গীতা ১০/১১)
  • অনুবাদঃ- তাঁদের প্রতি অনুগ্রহ করার জন্য আমি তাঁদের হৃদয়ে অবস্থিত হয়ে, উজ্জ্বল জ্ঞান-প্রদীপের দ্বারা অজ্ঞান-জনিত অন্ধকার নাশ করি।

  • শ্লোক: 64

    ভাবগ্রাহী জনার্দনঃ
    (চৈতন্য-ভাগবত আদি ১১/১০৮)
  • অনুবাদঃ- ভগবান জনার্দন শুধু ভক্তের ভাবটুকুই গ্রহণ করেন।

  • শ্লোক: 65

    নাহং তিষ্ঠামি বৈকুণ্ঠে যোগিণাং হৃদয়েষু বা ।
    মদ্ভক্তাঃ যত্র গায়ন্তি তত্র তিষ্ঠামি নারদ ।।
    (পদ্ম পুরাণ)
  • অনুবাদঃ- হে নারদ! আমি বৈকুণ্ঠে থাকি না, যোগীদের হৃদয়েও থাকি না। আমার ভক্তগণ যেখানেই আমার লীলাবিলাসের গুণকীর্তন করে, আমি সেখানেই থাকি।

  • শ্লোক: 66

    তেষামহং সমুদ্ধর্তা মৃত্যুসংসারসাগরাৎ ।
    ভমামি ন চিরাৎ পার্থ ময্যাবেশিতচেতসাম্ ॥
    (গীতা ১২/৭)
  • অনুবাদঃ- হে পার্থ ! আমাতে আবিষ্টচিত্ত সেই সমস্ত ভক্তদের আমি মৃত্যুময় সংসার-সাগর থেকে অচিরেই উদ্ধার করি।

  • শ্লোক: 67

    অসমোর্ধ্ব
    (অজ্ঞাত উৎস) অসম—যাঁর সমান কেউ নেই; ঊর্ধ্ব—কিংবা যাঁর ঊর্ধ্বে কেউ নেই।
  • অনুবাদঃ- কেউ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সমান বা তাঁর থেকে বড় নয়।

  • শ্লোক: 68

    একং ব্রহ্ম দ্বিতীয়ং নাস্তি
    (অজ্ঞাত উৎস)
  • অনুবাদঃ- ভগবান একজনই, দুজন নন।

  • শ্লোক: 69

    সঃ ভগবান্ স্বয়ং কৃষ্ণ
    (অজ্ঞাত উৎস)
  • অনুবাদঃ- সেই শ্রীকৃষ্ণই হচ্ছেন স্বয়ং পরমেশ্বর ভগবান।

  • শ্লোক: 70

    নিত্যো নিত্যানাং চেতনশ্চেতনানাম্ ।
    একো বহূনাং যো বিদধাতি কামান্ ।।
    (কঠ উপঃ ২/২/১৩, শ্বেতাশ্বতর উপঃ ৬/১৩)
  • অনুবাদঃ- পরমেশ্বর হচ্ছেন নিত্য এবং জীবসকলও নিত্য। পরমেশ্বর হচ্ছেন চেতন এবং জীবসকলও চেতন। পার্থক্য শুধু এই যে, সেই পরমেশ্বর সমস্ত জীবের প্রয়োজন সরবরাহ করছেন।

  • শ্লোক: 71

    একদেশস্থিতস্যাগ্নের্জ্যোৎস্না বিস্তারিণী যথা ।
    পরস্য ব্রহ্মণঃ শক্তিস্তথেদমখিলং জগৎ ।।
    (বিষ্ণু পুরাণ ১/২২/৫৩)
  • অনুবাদঃ- একই স্থানে অবস্থিত অগ্নির প্রভা বা আলোক যেমন সর্বত্র ব্যাপ্ত হয়, সেই রকম পরব্রহ্মের শক্তি অখিল জগৎ জুড়ে ব্যাপ্ত হয়ে আছে।

  • শ্লোক: 72

    সর্বং খল্বিদং ব্রহ্ম
    (অজ্ঞাত উৎস)
  • অনুবাদঃ- জড় ও চেতন – সব কিছুই পরমেশ্বর ভগবান তথা পরব্রহ্ম থেকে অভিন্ন ।

  • শ্লোক: 73

    যঃ কারণার্ণবজলে ভজতি স্ম যোগ-
    নিদ্রামনন্তজগদণ্ডসরোমকূপঃ ।
    আধারশক্তিমবলম্ব্য পরাং স্বমূর্তিং
    গোবিন্দমাদিপুরুষং তমহং ভজামি ।।
    (ব্রহ্মসংহিতা ৫/৪৭)
  • অনুবাদঃ- আধার-শক্তিময়ী শেষাখ্যা শ্রেষ্ঠ-স্বমূর্তি অবলম্বনপূর্বক যিনি স্বীয় রোমকূপে অনন্ত ব্রহ্মাণ্ডের সঙ্গে কারণার্ণবে শয়ন করে যোগনিদ্রা সম্ভোগ করেন, সেই আদিপুরুষ গোবিন্দকে আমি ভজনা করি।

  • শ্লোক: 74

    আনন্দচিন্ময়রসপ্রতিভাবিতাভি-
    স্তাভির্য এব নিজরূপতয়া কলাভিঃ ।
    গোলোক এব নিবসত্যখিলাত্মভূতো
    গোবিন্দমাদিপুরুষং তমহং ভজামি ।।
    (ব্রহ্মসংহিতা ৫/৩৭)
  • অনুবাদঃ- পরম আনন্দবিধায়ক হ্লাদিনী শক্তির মূর্ত প্রকাশ শ্রীমতি রাধারাণীর সঙ্গে যিনি স্বীয় ধাম গোলোকে অবস্থান করেন এবং শ্রীমতি রাধারাণীর অংশ-প্রকাশ, চিন্ময় রসের আনন্দে পরিপূর্ণ ব্রজগোপীরা যাঁর নিত্য লীলাসঙ্গিনী, সেই আদিপুরুষ গোবিন্দকে আমি ভজনা করি।

  • শ্লোক: 75

    নারায়ণ পরোহব্যক্তাৎ
    (শঙ্করাচার্য/গীতা-ভাষ্য)
  • অনুবাদঃ- পরমেশ্বর ভগবান নারায়ণ হচ্ছেন ব্যক্ত ও অব্যক্ত জড় সৃষ্টির অতীত।

  • শ্লোক: 76

    যথা মানতি ভূতানি ভূতষূচ্চাবচেষ্বনু ।
    প্রবিষ্টান্যপ্রবিষ্টানি তথা তেষু ন তেষ্বহম্ ।
    (ভাগবত ২/৯/৩৫)
  • অনুবাদঃ- জড় জগতের উপাদান বা মহাভূতসমূহ যেমন সমস্ত প্রাণীর ভিতরে প্রবিষ্ট হয়েও বাহিরে অপ্রবিষ্টরূপে স্বতন্ত্র বর্তমান থাকে, তেমনই আমিও সমস্ত জড় সৃষ্টির মধ্যে প্রবিষ্ট হয়েও তার মধ্যে অবস্থিত নই।

  • শ্লোক: 77

    ন হ্যস্য কর্হিচিদ্রাজন্ পুমান্ বেদ বিধিৎসিতম্ ।
    যদ্বিজিজ্ঞাসয়া যুক্তা মুহ্যন্তি কবয়োহপি হি ।।
    (ভাগবত ১/৯/১৬)
  • অনুবাদঃ- হে রাজন্, পরমেশ্বরের (শ্রীকৃষ্ণের) পরিকল্পনা কেউই জানতে পারে না। এমন কি, মহান দার্শনিকেরাও বিশদ অনুসন্ধিৎসা সহকারে নিয়োজিত থেকেও কেবলই বিভ্রান্ত হন। (যুধিষ্ঠিরের প্রতি ভীষ্মদেবের উক্তি)

  • শ্লোক: 78

    অদ্বৈতমচ্যুতমনাদিমনন্তরূপ-
    মাদ্যং পুরাণপুরুষং নবযৌবনঞ্চ ।
    বেদেষু দুর্লভমদুর্লভমাত্মভক্তৌ
    গোবিন্দমাদিপুরুষং তমহং ভজামি ।।
    (ব্রহ্মসংহিতা ৫/৩৩)
  • অনুবাদঃ- বেদেরও অগম্য, কিন্তু শুদ্ধ আত্মভক্তিরই লভ্য, সেই আদিপুরুষ গোবিন্দকে আমি ভজনা করি। তিনি অদ্বৈত, অচ্যুত, অনাদি, অনন্তরূপ, আদ্য, পুরাণ পুরুষ হয়েও নবযৌবন-সম্পন্ন সুন্দর পুরুষ।

  • শ্লোক: 79

    নায়ং সুখাপো ভগবান্ দেহিনাং গোপিকাসুতঃ ।
    জ্ঞানিনাং চাত্মভূতানাং যথা ভক্তিমতামিহ ।।
    (ভাগবত ১০/৯/২১)
  • অনুবাদঃ- যশোদা পুত্র পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ রাগানুগাভক্তি-পরায়ণ ভক্তদের কাছে যেমন সুলভ, মনোধর্মী জ্ঞানী, ব্রত ও তপস্যা-পরায়ণ আত্মারাম অথবা দেহাত্মবুদ্ধি পরায়ণ ব্যক্তিদের কাছে তেমন সুলভ নন।
    (শ্রী শুকদেব গোস্বামী )

  • শ্লোক: 80

    এতদীশনমীশস্য প্রকৃতিস্থোহপি তদগুণৈঃ ।
    ন যুজ্যতে সদাত্মস্থৈর্যথা বুদ্ধিস্তদাশ্রয়া ।।
    (ভাগবত ১/১১/৩৮)
  • অনুবাদঃ- জড়া প্রকৃতিতে অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও প্রকৃতির গুণের বশীভূত না হওয়াই হচ্ছে ভগবানের ঐশ্বর্য। তেমনই, যাঁরা তাঁর শরণাগত হয়ে তাঁদের বুদ্ধিকে তাঁর মধ্যে স্থির করেন, তাঁরা কখনও প্রকৃতির গুণের দ্বারা প্রভাবিত হন না।
    (সূত গোস্বামী)

  • (সূত্রঃ- বৈষ্ণব শ্লোকাবলী) এরপর দেখুন= ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক

  • Add_6

    আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করতে পারেন। মানসম্মত লেখা নামসহ সাইটে স্থায়ীভাবে পাবলিশ করা হয়।

    সুনির্বাচিত শ্লোকঃ-

    * * * Anupamasite-এ আপনাকে স্বাগতম। আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের লেখা পোস্ট করতে এখানে ক্লিক করুন।   আপনাদের পোস্ট করা লেখাগুলো এই লিংকে আছে, দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ * * *

    জ্ঞানই শক্তি ! তাই- আগে নিজে জানুন , শেয়ার করে প্রচারের মাধ্যমে অন্যকেও জানতে সাহায্য করুন।